গ্রীষ্মকালে এই ফলগুলো একদম খাবেন না
আমরা সবাই জানি গ্রীষ্মকালে অনেক সুস্বাদু ফল হয়ে থাকে। যা সবারই কাছে খুবই পছন্দের হয়| কিন্তু গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়েই থাকে তাই গরম থেকে বাঁচতে প্রয়োজনের সাবধানতা নেওয়ার সময় এসে গেছে | কারণ গ্রীষ্মকালে শরীরকে সুস্থ রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ. তাই শরীরের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের জন্য কোন ফলগুলি খাবেন তা আমরা এই নিবন্ধের মাধ্যমে উপদেষ্টা(Guide) করব |
Affiliate Marketing is Good or Bad
আপনারা জানেন গ্রীষ্মকালের গরমে আমাদের শরীরে অনেক প্রকার পরিবর্তন দেখা যায়। কারণ শরীরের কিছু ভিটামিনের অভাবে অনেক কিছু সমস্যা দেখা যায় | আর শরীরের পুষ্টি হয় না এবং নানান সমস্যা দেখা দেয়| এই সমস্যার জন্য গ্রীষ্মকালে যে পুষ্টিবর্ধক বা ভিটামিন যুক্ত ফল রয়েছে সেই ফলগুলোর নাম এবং ফলগুলোর সুবিধা অসুবিধা সম্পূর্ণ বিষয়ের আলোচনা করব|
গ্রীষ্মকালে এই ফলগুলো একদম খাবেন না
আম (mango)
গ্রীষ্মকালে আম, কাঁচা অথবা পাকা যেই ভাবেই খাওয়া হোক তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী| বিভিন্ন চিকিৎসকদের মতে পাকা আম খাওয়া ভালো | তবে খুব বেশি পাকা আম খাওয়া ঠিক নয়| পাকা আমে নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে যেমন ভিটামিন এ , ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, থায়ামিন বা ক্যারোটিন| আবার রয়েছে উচ্চমাত্রা চিনি কার্বোহাইড্রেট ও গ্লাইসেমিক| তাছাড়াও পাকা আমে ফিনোলিকস জাতীয় উপাদান থাকার কারণে তা এন্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস। পাকা আমে চিনির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
লিচু (lychee)
গ্রীষ্মকালে ফলের দোকানে বিভিন্ন ফলের সাথে আমরা লিচু দেখতে পাই । লিচু একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ,সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও লোভনীয় ফল যা আমরা গ্রীষ্মকালে পেয়ে থাকি। লিচুতে ওষুধি গুন ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে খনিজ, শর্করা ও খনিজ রয়েছে। লিচুতে ৮২% জলের পরিমাণ রয়েছে এবং ১৬.৫% ফল রয়েছে। তাই গরমের দিনে লিচুতে জলের পরিমাণ বেশি থাকায় , আমাদের শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এতে ক্যালরি খুবই কম থাকে । এছাড়াও লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তবে হ্যাঁ অতিরিক্ত যেমন কোন খাবারে ভালো নয় তেমন অতিরিক্ত বেশি লিচু খেলেও সমস্যা হয় বিশেষ করে খালি পেটে।
তরমুজ (watermelon)
গ্রীষ্মকালে আম, লিচু ,কাঁঠাল ইত্যাদি জনপ্রিয় ফলের মধ্যে তরমুজের ভূমিকাও রয়েছে। তাই বিভিন্ন ফলের দোকানে গরমের দিনে তরমুজ প্রচুর পরিমাণে বিক্রয় হয়। তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, ভিটামিন এবং খনিজ। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যারোটিনয়েটস বেশি থাকার জন্য তরমুজ শরীরের কোষকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। তরমুজে শতকরা ১২ ভাগেই জল এবং প্রাকৃতিক ভাবেই এতে কোন চর্বি থাকে না। তরমুজের পটাশিয়াম শরীরের ফ্লুইড ও মৃণালেশের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে। এবং তরমুজের ভিটামিনে দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে।
কাঁঠাল (Jackfruit)
কাঁঠাল বসন্ত ও গ্রীষ্মের প্রথমে কাঁচা অবস্থায় এবং গ্রীষ্ম ,বর্ষার টাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে পাকা কাঁঠাল বেশি পুষ্টিকর হয়। মানব দেহের জন্য সব উপাদান যেমন- থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন সহ বিভিন্ন প্রকারের পুষ্টি উপাদান আছে কাঁঠালে। কাঁঠালে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি সহ বিভিন্ন রকম পুষ্টি ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। এইসব উপাদান শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখে। কিন্তু কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকায় এটি হজম হতে বেশি সময় নেয়। তাই অধিক পরিমাণে কাঁঠাল খেলে শরীরে সমস্যা হতে পারে।
আঙ্গুর (grapes)
শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য গ্রীষ্মকালে আমরা আঙ্গুর খেয়ে থাকি। আর আঙ্গুর ফল সবারই একটি পছন্দের ফল । যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কারণে এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এবং স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য দরকার খনিজ এবং ভিটামিনসমূহ। আঙ্গুরে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ওয়ান, ভিটামিন b6 এবং খনিজ উপাদান পটাশিয়াম যার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সুস্বাদু এই আঙ্গুর ফল গ্রীষ্মকালে জুস এবং এমনিতেই খেলে শরীর ঠান্ডা রাখে।
জাম (berries)
জাম হলো গ্রীষ্মকালীন ফল। গ্রীষ্মকালে আমের মতো এর জনপ্রিতা। ছোট বড় সকলেরই এই ফল বেশ পছন্দের। অন্য সব মৌসুমী ফলের তুলনায় গ্রামের সময় খুব কম হলেও এই ফল পুষ্টিগুণে অতুলনীয়। পাকা জামের স্বাদ যেমন মধুর তেমন এর উপকারিতাও প্রচুর। জাম খেতে কারোও বিধি নিষেধ নেই, তবে খালি পেটে জাম খেলে শরীরের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন উপকারী উপাদান যেমন- ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, এছাড়াও ভিটামিন এ , বিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬ ও আরো অনেক উপাদান থাকে যার শরীরকে ভালো রাখে।
If you like this post then please share this post with your social media account. We publish news and career-related post on our website. Thank you.