Albert Einstein Biography in Bengali || বিজ্ঞানী আইনস্টাইন
Albert Einstein Biography in Bengali || বিজ্ঞানী আইনস্টাইন: জার্মানির একটি ছোট্ট শহর উল্ম, উরটেমবার্গ এক সম্ভ্রান্ত মধ্যবর্তী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন । তিনি ১৮৭৯ সালে ১৪ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার (engineer) তাই ছেলেকে মাঝে- মাঝে নানা খেলেনার জিনিস এনে দিতেন।
শিশু আইনস্টাইনের বিচিত্র চরিত্র কে উপলব্ধি করা সেই দিন সম্ভব হয়নি ,তার অভিভাবক তার শিক্ষকদের স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকে মাঝে মাঝেই অভিযোগ আসতো তার পড়াশোনার অমনোযোগী বলে। ক্লাসে কেউই তার সঙ্গী ছিল না ।
আইনস্টাইন ছোটবেলা
আইনস্টাইন ছোটবেলা: সকলের শেষে পেছনের ব্রঞ্চ এ গিয়ে বসতেন তিনি। শুধু একমাত্র সঙ্গী হিসেবে তার মা-ই ছিলেন আর বেহালায় সেই সুর তুলে নেন ওই বেহালায় ছিল আইনস্টাইনের আজীবন কালের সাথী । আলবার্ট আইনস্টন বড় হয়ে শুধু অধ্যাপক এ নন (Physicist)পদার্থ বিজ্ঞানীও হয়েছিলেন।
Albert Einstein ছোটবেলার চার বছর বয়স পর্যন্ত কোনো কথা বলেননি , বই পড়তে শিখেননি ৭ বছর পর্যন্ত, তাই তার বাবা- মা মনে মনে ভাবতেন ছেলেটি হয়তো কথাই বলতে পারবে না। এই জন্য দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না তাদের কিন্তু একদিন রাতে ঘটলো একটি মজার ঘটনা ।
Also Read- Click Here
Albert Einstein Biography || ক্লাসের শিক্ষকরা
Albert Einstein Biography : ক্লাসের শিক্ষকরা : একদিন খাবার টেবিলে আইনস্টাইনের Albert Einstein মা তার জন্য সুপ রান্না করে রাখলেন ।এরপর তাকে খাবার টেবিলে ডেকে সুপ খেতেও দিলেন কিন্তু হঠাৎ আইনস্টাইন বলে উঠলেন, ‘মা সুপটা খুব গরম’ সন্তানের মুখে এমন কথা শুনে সবাই হতবাক তার মুখের কথা শুনে বাড়ির সবাই জিজ্ঞেস করল! আইনস্টাইন তুমি এতদিন কথা বলোনি কেন? তিনি জবাব দিলেন ‘এতদিন তো সব ঠিকঠাক ভাবেই চলছিল’।
ছেলেবেলা থেকেই আইনস্টাইন কিছু না কিছু ভাবতে থাকতেন । ক্লাসের শিক্ষকরা কোন প্রশ্ন করলে অনেক ভেবেচিন্তে উত্তর দিতেন। অন্যদের মতো হঠাৎ কোন কিছু বলতে পারতেন না । কথা বলার সময় কিছু কথা মুখে আটকেও যেত তার ।এইজন্য সহপাঠীদের কাছে উপহাসের পাত্র হয়ে গিয়েছিল আইনস্টাইন।
কম্পাসের কাহিনী
কম্পাসের কাহিনী: আইনস্টাইনের বাবা হেল্ড ম্যান আইনস্টাইন একবার ছেলেকে একটা কম্পাস কিনে দিলেন ।এরপর বালক আইনস্টাইন সবসময় শুধু এই যন্ত্রটি নিয়েই থাকতে, একদিন হঠাৎ তার মনে প্রশ্ন জাগলো- কম্পাসের একটি দিক শুধু একদিকেই ঘুরছে অন্যদিকে ঘোরানো যায় না কেন? তার বাবার কাছে এ ঘটনার কাহিনী জানতে চাইলেন আইনস্টাইন।
বাবা তার ছেলের এমন কৌতুহল দেখে খুব খুশি হয়েছিলেন। তিনি আইনস্টাইনকে কম্পাসের ঘোরার কারণ ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছিলেন। এছাড়াও আইনস্টাইন সবারই নজর কাটালেন একটি নিবন্ধ লিখে, তখন তার বয়স ছিল কুড়ি বছর। তার নিবন্ধের বিষয় ছিল আপেক্ষিকতাবাদ (Relativism) আইনস্টাইন ছোটবেলায় আলোর রথে চড়ার স্বপ্ন দেখতেন,
আলোর আপেক্ষিক তথ্য
তাই আলো নিয়ে সব সময় ভাববেন ক্লাসে বসে সূর্যের আলো কিংবা বাড়িতে বসে আলো নিয়ে ভাবতে গিয়ে বড়দের কাছে অনেক বকাবকি ও শুনতে হয়েছে তাকে, তাই মাত্র 14 বছর আলোর রথে চড়া বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নিয়ে ভাবনা শুরু করেছিলেন আইনস্টাইন। আইনস্টাইনকে আলোর আপেক্ষিক তথ্য আবিষ্কার চিন্তায় বেশি আলোকিত করেছেন।
Pratidin24ghanta.com