Bengali Choti Golpo
শিরোনাম: “ছোট বোনের বড় স্নেহ
একটি ছোট গ্রামে একটি সুন্দর বড় বোন আর তার ছোট বোন থাকত। বড় বোনটির নাম সুমি ছিল, আর ছোট বোনের নাম পূজা। সুমি খুব দুর্বল ছিলেন, কারণ তার দেহে যে কোনো রোগ হয়ে যেত। তার এই অসুখে বাড়ির মানুষরা সব সময় উদাসীন থাকত। একদিন সুমি অত্যন্ত দুঃখিত ছিলেন, কারণ তার অত্যন্ত সুখের ছোট বোন, পূজা, জোরে বলল, “আপু, আমি চেয়ে বেশী কিছু চাই না।
আমি আপনার সাথে আমার সবচেয়ে ভালো সময় কাটাতে চাই।” পূজা সুমির হাতে সরিয়ে দিল এবং বলল, “আপু, আমি যত্ন নেব তাতে আপনি শীঘ্র ঠিক হয়ে যাবেন।
আমি আপনার সাথে থাকতে চাই এবং আপনির জন্য যা দরকার সেটা নিয়ে আসব।” সুমির চোখে প্রশান্তি আসল, কারণ সে বোনের স্নেহে আরও শক্ত হয়ে গিয়েছিল। তার মনে বড় বোনের ছোট বোনের সাথে সাথে সবচেয়ে বড় সম্পদ পেয়ে গিয়েছিল।
এই ছোট গল্পটি দেখাচ্ছে যে ছোট সন্তানের স্নেহ অত্যন্ত মূল্যবান এবং কিছু টাকা বা সাম্প্রদায়িক সম্পত্তির প্রতি যে প্রাথমিক মূল্য হয় সেটি নির্ধারণ করে না।
শিরোনাম: “মন্দিরের রহস্য” (The Temple Mystery)
Bengali Choti Golpo
একটি ছোট গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাচীন মন্দিরে একটি রহস্যময় ঘটনা ঘটে। এই গল্পের মুখ্য চরিত্র হলো রত্না, একটি বিদ্যার্থিনী, যার জীবনে অনেক স্বপ্ন ছিল।
রত্না সব সময় মন্দিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতেন। মন্দিরটি সুন্দর ও শান্ত, এবং তার মূল গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল প্রাপ্তির মাধ্যমে মোক্ষ প্রাপ্ত করা।
একদিন, রত্না মন্দিরে যাওয়ার সময় তিনি একটি গুপ্ত দরজা দেখতে পেয়েছেন যা সাধারণভাবে সবার আগে দেখায়নি। রত্না প্রস্তুতি নেয় ও সেই দরজাটি খোলার চেষ্টা করে।
দরজাটি খোলার পর, সে দেখে, মন্দিরের একটি গুপ্ত গলিতে একটি ছোট গোল্ডেন মুর্তি রয়েছে, যা অত্যন্ত মূল্যবান এবং সৌন্দর্য অপরিসীম। রত্না আশ্চর্যে পূর্ণ হয়ে যায় এবং মন্দিরের পুজারীর সাথে এই সম্পর্ক করে।
মন্দিরের পুজারী তার ব্যাখ্যা দেয় যে, এই মুর্তি মন্দিরের গুপ্ত সত্যতা হলো, এবং মন্দিরের বাইরে বিকেলের সময় এটি বাইরে এসে মন্দিরে থাকে। তবে, এই মুর্তি কেউ যদি মন্দির থেকে বাইরে নিতে চায়, তাকে বড় দুঃখ ও অশুভ ঘটনা অবশ্যই ঘটবে।
রত্না মন্দিরে ফিরে আসে এবং তার অদ্ভুত অভিজ্ঞতা তার বন্ধুদের সাথে ভাগ করে। সম্পর্ক করা বন্ধুদের সাথে তিনি গুপ্ত গলির রহস্য নিয়ে আরও খোলাশোনা করতে যায় এবং রহস্যের পেছনের কাহিনী বের করতে শুরু করে।
গলির রহস্য খোলার জন্য রত্না ও তার বন্ধুদের একসাথে পর্যাপ্ত শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস সাথে প্রতিক্ষণ যাচ্ছে। এবং এই গলির রহস্য প্রকাশ হয় নির্দিষ্ট সময়ে, মুর্তি তার স্থানে ফিরে আসে।
এই রহস্যময় ঘটনার পর, মন্দির এবং গ্রামের লোকরা মোক্ষের দিকে পুনর্মুখী হয়, এবং রত্না জীবনে একটি অমূল্য অভিজ্ঞতা বের করে।
এই ছোট গল্পে সেই বাঙালি গ্রামের পুরাতাত্বিক মন্দিরের একটি মুকুট এবং সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের গল্প আছে, যা একটি ছোট রহস্যের সাথে পূর্ণ হয়।
শির্ষক: “গোলাপ ও কুঁড়েঘরের রানি”
একসময়ের কথা, একটি সুন্দর গ্রামে একটি বড় কুঁড়েঘর ছিল। কুঁড়েঘরের রানি এখানে সেরা গোলাপগাছ চাষ করতেন। গ্রামের সবাই গোলাপের বন্ধনে মোহিত হয়ে যেতেন।
এই গোলাপগাছে একটি সবচেয়ে সুন্দর গোলাপ ফুলের জন্য যে রানি খুশি হতেন, সে এই গোলাপগাছের বিশেষ যত্ন নেওয়ার কারণে গ্রামের সবাই তাকে সবসময় রানি বলত।
গোলাপের যত্ন নেওয়ার সময়, সে রানি হাস্যরসে ভরা একটি দুধের দব প্রতি দিন গোলাপের মূল আরও আরোপ দেন। তার সঙ্গে সঙ্গে রানি গোলাপের সাথে মজা করতেন এবং তাকে তার সমস্যা ও সমাধানের জন্য প্রশ্ন করতেন।
একদিন, একটি বড় সাপ গোলাপের বুটপাড়িতে ঘুসে পড়ে গেল। রানি গোলাপের দুধে দব দেওয়ার সময় তার চোখে পড়ল সাপের আকাঙ্খা নাকি তার বুটপাড়ি প্রাণি দেখতে।
রানি মিলিয়ে স্পষ্ট হয় যে সাপটি তার গোলাপগাছের গোলাপ খেতে চায়। তার হৃদয়ে দয়া আসতে লাগল, কারণ সে জানতেন যে গোলাপ গাছের গোলাপের মধ্যে সেরা গোলাপ হয়ে যেতে।
রানি তার সাথী গ্রামবাসীদের সাথে আলোচনা করল, এবং সমস্যাটি সমাধান করতে চাইলেও সবাই মজা করে তার উপর হাসি দিল। তবে, একজন বুদ্ধিমত্তা লক্ষণ দেখে রানির সান্ত্বনা দিয়ে বলল, “রানি, যদি তুমি সাপটিকে গোলাপ দেওয়ার জন্য তৈরি হ’ও তা না হলে তোমার গোলাপের জন্য মোটেও কোন সাহায্য হয়নি।”
রানি মন্যা হলেও তার হৃদয়ে একটি ভয় ছিল। তার গোলাপ বাঁচতে দরকার ছিল, তাই সে সাপটি গোলাপ দিয়ে দিল। সাপটি খুশি খুশি গোলাপে চলে গিয়ে একটি গোলাপ খেলে মরে গেল।
তার সঙ্গে সঙ্গে সম্পূর্ণ গ্রামে প্রচুর গোলাপ পুষ্প উত্সাহে চাষ করতে লাগল, এবং রানি গোলাপের জন্য একটি নতুন বুটপাড়ি প্রতি দিন তৈরি করতেন। এর মাধ্যমে, গ্রামের সবাই মিলে গোলাপের সাথে আনন্দে সময় কাটাত।
এই ছোট গল্প দেখায় যে দয়া এবং সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে সমাজে সদয় এবং পরিস্কার রাখা যেতে পারে। সাথে সাথে, এটি আমাদের গোলাপের সুন্দরতা এবং মানসিকতা এবং সাপের সাথে দয়া এবং সহানুভূতির গুরুত্ব প্রদান করে।
শির্ষক: “সত্যের মূল”
একটি গ্রামে দুটি বন্ধু থাকতেন – রমেশ ও সুনীল। তাদের প্রাণপ্রিয় খেলা ছিল ক্রিকেট। প্রতিদিন তারা সংগঠিতভাবে গ্রামের খেলায় অংশ নেত। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, তাদের ক্রিকেট খেলা চলত।
একদিন, তারা একটি বড় ম্যাচ খেলতে যাবার জন্য প্রস্তুতি নেল। ম্যাচের দিন, সকালের সময় তারা একসাথে ম্যাচে যাত্রা করতে উঠল। তারা সবাই প্রায়ই অবধি সময় খেলতে থাকত, তাই তাদের ক্রিকেট দল খুব দক্ষ ছিল।
ম্যাচ চলাকালীন, রমেশের পরশ্রীয় ব্যক্তি যেগুলি ছিলেন বিশেষভাবে বিশ্বাসী নয়, তারা দলটির পক্ষ থেকে দ্বিধা প্রকাশ করলেন। তারা ম্যাচের শেষে প্রথম বাঁধে পড়ল, এবং তাদের দল পর্যাপ্ত স্কোর পেতে পারল না।
রমেশ ও সুনীল দুজনেই বেশ নিরাপদ খেলেছিলেন, কিন্তু শেষে তাদের দল হেরে গেল। ম্যাচ শেষে, তাদের ক্ষেত্রে প্রাণির মতো শ্রদ্ধা আপনার প্রশংসা করে এসেছিলেন।
রমেশ ও সুনীল দুজনেই সেই দিনের ম্যাচের পর নিরাশ ছিলেন, কিন্তু তারা জানতে পেরেছিলেন যে তাদের প্রয়াস সত্যিই মূল্যশীল ছিল। তাদের মতো দক্ষ খেলোয়াড়েরা সবসময় হার মেনে নেয় না, বরং হার থেকে শিখে এগিয়ে যায়।
এই গল্পটি আমরা এটি মনোনিবেশের সাথে সাথে না হারিয়ে, সত্যের মূলটি সদয় চেনার প্রয়াসের মানের উপর ভিত্তি করে সাজানো।
More Post :