Kali Puja 2023 Date and Time
Kali Puja 2023 Date and Time: কালীপুজো হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি জনপ্রিয় পূজা। কালী পূজার দিনে মা কালীর উদ্দেশ্যে পূজা করা হয়। এই দিনটিকে কালীপূজা, শ্যামা পূজা, দীপাবলি (Diwali) ও ধনতেরাস পূজা বলে থাকি। মা কালী শক্তি সাধনার ক্ষেত্রে প্রধান দেবী ।কাল শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ অর্থ হল কালি ।
১০ মহাবিদ্যার প্রথম এবং আদি মহাবিদ্যা হলেন কালী শব্দ । কল্প, ধ্রুব মতে কাল বা মহাকাল শিব অর্থাৎ শিবই হলেন কালী অর্থাৎ শিবের স্ত্রী (wife) হলেন কালী। মহাকালের বিশেষ শক্তি হলেন কালি তাই কালীপুজো করা হয়। ২০২৩ সালে কালীপুজোর পূর্ণাঙ্গ তিথি ও কালীপুজোর তাৎপর্য কি? কালীর আবির্ভাব এবং ইতিহাস আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে জানবো।
কালীপুজোর পূর্ণাঙ্গ তিথি
কালীপুজোর পূর্ণাঙ্গ তিথি: kali puja time দুর্গাপূজার পরে অমাবস্যা তিথিতে কালীপুজো হয়। আর এমনটাই হয়ে আসছে শুরু থেকে।
- 2023 সালে কালীপুজো (Kali puja)12 November 2023,Sunday, বাংলা মাস অনুসারে ২৫ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দে রবিবার দিনে।
- ২০২৩ সালে কালীপুজোতে kali puja time অমাবস্যাতিথি শুরু হবে-12 November 2023, রবিবার ,দুপুর ২ঃ৪৫ মিনিটে।
- অমাবস্যা তিথি সমাপ্ত হবে- Monday, November 13, 2023 at 2:57 PM,Monday,২৬ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দে সোমবার দিনে।
Also Read- Click Here
কালীপুজোর তাৎপর্য
কালীপুজোর তাৎপর্য: মা কালী সবকিছু গ্রাস করেন তিনি মর্ত ও দেবতাদের প্রতি অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণীয় এবং একই সাথে সন্তানের প্রতি সবসময় কৃপা বৃষ্টি করেন। বাঙালি তথা পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতে ( India) মা হলেন অতি পূজনীয় এক এক রুদ্র রুপি মাতৃরূপ।
তন্ত্র অনুসারে কালী দশ মহাবিদ্যার প্রথম দেবী। দেবী দুর্গা বা পার্বতীর একটি রূপ তাকে মৃত্যু, সময় ও পরিবর্তনের কর্তা বলা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে কালীকে ভগবান শিবের স্ত্রী পার্বতী রূপ হিসেবে স্বীকার করা হয়। ভগবান শিবের তৃতীয় নয়ন থেকে বার চক্ষু থেকে রাক্ষসদের শাস্তি দেওয়ার জন্য মা কালীর প্রচন্ড রূপ উৎপন্ন হয়।
তাই দক্ষিণ ভারতে ভৈরব কন্যা মহাকালী বলা হয়। পুরানে (purana) বলা হয়েছে তিনি আবির্ভাব হন ভগবান শিবের (lord shiva) থেকে তিনি শক্তি এবং চূড়ান্ত প্রকাশ মান এবং সমস্ত জীবের জননী নির্দোষকে রক্ষা করেন আর পাপীদেরকে কঠিন শাস্তি দেন।
সময়ের সাথে সাথে মা কালীকে ভক্তিমূলক আন্দোলন ও তান্ত্রিক সম্প্রদায়ের দ্বারা বিভিন্ন ভাবে দেবী মা, বিশ্বের মা, আদি শক্তি বা পার্বতী হিসেবে পুজো করা হয়। শাস্ত্র ও তান্ত্রিক সম্প্রদায়ের লোকেরা কালিকে চূড়ান্তভাবে বাস্তবতা ও ব্রহ্ম হিসেবে পুজো করেন। তাকে, ঐশ্বরিক রক্ষক হিসাবে ধরা হয়।
মা কালীর আবির্ভাব ইতিহাস
মা কালীর আবির্ভাব:ইতিহাস: কালীপুজোর ইতিহাস(History) কালী শব্দটি আবির্ভূত হয়েছিল ১২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১০০০ ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ এর মধ্যে। কালি শব্দটি এসেছে কাল নামক শব্দ থেকে যার অর্থ সময় । বেদে তাকে আগুনের অন্ধকার দিকে সাথে তুলনা করা হয়।
কালী নামের সংস্কৃত (Sanskrit) ভাষায় অর্থ ‘যে কালো’ বা ‘যে মৃত্যু’ কিন্তু তিনি চতুর্ভুজ কালী ছিন্নমস্তা বা কৌশিক নামেও পরিচিত। মা কালীর আবির্ভাব যখন মা পার্বতী তার মহা গৌরী রূপের অবতার গ্রহণের সময় নিজের দেহের কালো চর্ম বর্জন করেন যা থেকে মা কালীর সৃষ্টি হয়। আর এই কারণেই তার নাম কৌশিকী হয় কালীর এই রূপ চিরন্তন অন্ধকারের প্রতীক যার মধ্যে সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে কালী পূজার আবির্ভাব
- পশ্চিমবঙ্গে কার্তিক মাসে কালীপুজোর উৎসব খুব একটা প্রাচীন নয়। কালীপুজো সৌর শতাব্দীর আগে কার্যত অজানায় ছিল বিখ্যাত তান্ত্রিক পন্ডিত কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ (PanditKrishnananda Agamavagisha) প্রথম কালী পূজার সূচনা করেন
- নবদ্বীপের প্রাচীনতম কালীপূজা আগমেশ্বরী কালী পূজা তান্ত্রিক পন্ডিত কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীষা দ্বারা শুরু বা আবির্ভাব হয়েছিল।
- রামকৃষ্ণ (Ramakrishna) পরমহংসদেব, বামাক্ষ্যাপা, প্রহ্লাদ চন্দ্র ব্রহ্মচারী এনারা ছিলেন মা কালীর অনুগত উপাসক যারা দেবীকে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
- খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী এবং সপ্তম শতাব্দীর মধ্যে মা কালীর পূজা শুধু ব্রাহ্মণ সমাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল । যার বেশিরভাগই ছিল উপজাতি দেবী হিসাবে স্বীকৃত প্রথমবারের মতো তার উল্লেখ পাওয়া যায় দেবী মাহাত্ম্য পাঠ্যে যা পুরানে যেখানে তাকে দেবী দুর্গার ক্রোধের অবতার হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।
- পরবর্তী শতাব্দীতে তিনি তান্ত্রিক আচার এবং দর্শনে অন্তর্ভুক্ত হন এবং সম্প্রতি সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যে তাকে ভক্তিমূলক দেবী হিসেবে সাধারণ মন্দিরে থেকে শুরু করে গৃহস্থের বাড়ি পর্যন্ত পূজা শুরু করা হয়। যেখানে তাকে স্নেহময়ী মা হিসাবে অর্চনা করা হয়।
- এই কালীপূজাকে দীপান্বিতা অমাবস্যা বলা হয়। ১৭৬৮ সালে কাশীনাথ নামক এক পণ্ডিত একই দিনে দেবীর কালীপূজার বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছিলেন । তারপর থেকেই দীপান্বিতা অমাবস্যাতে ধীরে ধীরে কালী পূজা উদযাপনের রীতি শুরু বা আবির্ভাব হয়।
QNA.Update.com