General Store Items
General Store Items: জেনারেল স্টোরে এমন আইটেম রাখতে হবে যা নিয়মিত ডিমান্ড থাকবে। যাতে কোন পরিস্থিতিতেই আপনার ব্যবসা বন্ধ না হয় । সেই অর্থে মুদিখানার হোলসেলার বিজনেস একটি পারফেক্ট বিজনেস । যতই দুঃসময় আসুক লাভ লস আসুক মানুষকে মুদিখানার আইটেম নিতেই হবে । আর আপনার বিক্রি হতেই থাকবে।
কিন্তু ব্যবসা করলে তো হয় না তার জন্য চাই প্ল্যানিং উপযুক্ত সোর্স আর কিছু টাকা ইনভেস্টমেন্ট জেনারেল স্টোর আইটেম কি রাখবেন ? কোন কোন প্রোডাক্টে আপনার কত পারসেন্ট মার্জিন হবে? ইত্যাদি বিষয়ে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আলোচনা করাবো একটি জেনারেল স্টোরে প্রায় ঘরেলু জিনিসপত্র রাখা দরকার। সম্পূর্ণ জেনারেল আইটেম ব্রান্ডেড হতে হবে।
মুদিখানার জেনারেল আইটেম এর ব্যবসা আপনারা যেকোনো সময়ে শুরু করতে পারবেন । আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী ছোট করেও শুরু করতে পারেন আবার বেশি টাকা ইনভেস্ট করেও বড় করেও শুরু করতে পারবেন। শুরু যেভাবেই করেন না কেন আপনার চাই একটি সঠিক বিজনেস প্লেন।
মুদিখানা পাইকারি ব্যবসা
মুদিখানা পাইকারি ব্যবসা: যেকোনো পাইকারি ব্যবসার মতো মুদির পাইকারি ব্যবসাতেও আপনার কাজ হোলসেল মুদিখানা সামগ্রী বিক্রি করা । অর্থাৎ চাল, ডাল, চিনি, তেল, নুন, আটা , ময়দা থেকে শুরু করে সাবান ,শ্যাম্পু , বিস্কিট , সয়াবিন
এইসবই হোলসেল রেটে আপনার স্টোর থেকে বিক্রি করবেন । আপনার স্টোর থেকে হোলসেল রেটে কিনে নিয়ে গিয়ে খুচরো ব্যবসায়ীরা সরাসরি গ্রাহকদের বিক্রি করবে । এটাই হলো মুদিখানা পাইকারি ব্যবসা।
Also Read- Click Here
পাইকারি ব্যবসা প্রয়োজন
পাইকারি ব্যবসা প্রয়োজন: পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে হলে সবার প্রথমে আপনার একটি ”ট্রেড লাইসেন্সের ” প্রয়োজন । ”ট্রেড লাইসেন্স ” হচ্ছে ব্যবসা করবার অনুমতি পত্র । আপনি যদি শহরে বাস করেন তাহলে এই লাইসেন্সটি আপনার পৌরসভার অফিস থেকে পাবেন।
আর কলকাতায় থাকলে করপারেশন অফিস থেকে লাইসেন্স পাবেন । যদি গ্রাম অঞ্চলে বাড়ি হয় তাহলে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ট্রেড লাইসেন্স পাবেন। খুব বেশি সময় লাগে না এই ট্রেড লাইসেন্স বানাতে । অল্প খরচের মধ্যেই এই ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া যায় তার জন্য লাগবে প্রয়োজনে নথিপত্র।
General Store Items || লাভ
General Store Items || লাভ: জেনারেল স্টোরের যে সমস্ত আইটেমগুলো আছে । এই আইটেমগুলো আপনি যদি এভারেজ মনে করেন তাহলে মিনিমাম আপনার ফাইভ পার্সেন্ট মার্জিন থাকবে।
যেমন আপনি যদি একশ টাকার মাল বিক্রি করেন । তাহলে আপনার 5 টাকা ইনকাম হবে। মসলা চকলেট ইত্যাদি যে সমস্ত প্রোডাক্টগুলো আছে সে সমস্ত মাল মিলিয়ে ৭ পার্সেন্টেজ পর্যন্ত ইনকাম হতে পারে।
পারসেন্ট মার্জিন
পারসেন্ট মার্জিন: আনমোল কোম্পানির বিস্কুটে ৫ পার্সেন্টেজ মার্জিন থাকে । একজন হোলসেলারের কাছে আর খুচরোগ্রাহকদের ৫% থেকে ১০% পার্সেন্টেজ মার্জিন থাকে। যেগুলো এক টাকার শ্যাম্পু হোলসেলার এ কেনা হয় ১২ টাকা করে। এবং বিক্রি হয় ১৩ টাকা তো এখানে হোল সেলারের ১৩ পার্সেন্টেজ মার্জিন আছে ।
এবং দুই টাকার ডাব শ্যাম্পু ও দুই টাকার হেড এন্ড শোল্ডার শ্যাম্পু হোলসেলার রেটে ২২ টাকা ৫০ পয়সা দিয়ে কেনা হয়। আর এটি বিক্রি হয় ২৬ টাকা দিয়ে তাহলে সে ক্ষেত্রে মার্জিন বেশি হয় তারপর কলগেট , ডাবর পেস্ট , ম্যাক্স পেস্ট এই সমস্ত আইটেমে হোলসেলার ৫% থেকে ৭ পার্সেন্ট পর্যন্ত মার্জিত থাকে এবং একজন ক্ষুদ্র দোকানদারের লাভ হয় ১০ পার্সেন্টেজ।
মার্কেটিং গাইডেন্স
মার্কেটিং গাইডেন্স: জেনারেল স্টোর খোলার পর বিক্রি করবেন বা মার্কেটিং করবেন তা দোকানদাররা কিভাবে জানবেন তার জন্য মার্কেটিং করতে হবে। আপনি আপনার মার্কেটের কমপক্ষে এক বর্গ কিলোমিটার এর মধ্যে যতগুলো মার্কেট রয়েছে । প্রত্যেকটি মুদিখানার দোকানে গিয়ে চিপ রেটে আপনার মাল সাপ্লাই শুরু করতে হবে ।
যে কোন প্রোডাক্ট ব্যবসা শুরুতেই চিপ ডেটে করতে হয়। প্রথমে মার্কেটিং করে প্রত্যেকটি দোকানে আপনার মাল পৌঁছাতে হবে । এরপর যখন দেখবেন আপনি আর পেরে উঠছেন না সাপ্লাই করতে করতে তখন
চিপ রেটের প্রোডাক্ট নেওয়ার জন্য ওই সমস্ত দোকানদারকে আপনার হোলসেল স্টোরে আসতে রিকোয়েস্ট করুন । এবং সেখান থেকে আপনি কিছুদিন পরে আপনাকে আর দোকানে দোকানে মার্কেটিং করতে হবে না। দোকানদাররাই চিবিরাটে আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট নিবে।
Pratidin24ghanta.com