Biography of Mother Teresa in Bengali
Biography of Mother Teresa in Bengali: মানবতার এক অন্যতম দৃষ্টান্ত মাদার টেরেজা। বাহু বলে নয় বাহ্যিক ঐশ্বর্যের প্রদর্শনীতেও নয় , বিশ্বকে শুধু প্রেম এবং ভালোবাসা দিয়েই জয় করা সম্ভব। তা নতুন করে প্রমাণ করেছেন আজকের যুগের মাদার টেরিজা।
পথের অসহায় শিশুকে , বড় স্নেহে বুকে টেনে নিয়েছেন ।সামাজিক মূলক কাজ করেছেন । সমাজের শারীরিক সমস্যা ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়েছে । কত নিঃস্ব ,রিক্ত, পুঙ্গ আত্ম জন তাকে ঘিরে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছে । আজ তার জীবনী এই পোষ্টের মধ্যে আলোচনা করা হলো।
জন্ম ও জীবনী
জন্ম ও জীবনী: সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচিত মাদার টেরেজা । ১৯১০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ আগস্ট যুগোল্লাভিয়ার স্কোপেজ শহরে আলবেনিয়ার এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম অ্যাগনিস গঞ্জা বোজাঝিউ। সাত বছর বয়সে তিনি পিতৃহীন হন।
সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় থেকেই তিনি ধর্মযাজক সংগঠনে যোগদান করেন। মাত্র 18 বছর বয়সে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে অ্যাগনিস গঞ্জা বোজাঝিউ ভারতবর্ষে আসেন।
Also Read- Click Here
কর্মজীবন
কর্মজীবন: ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের শিক্ষকতার কাজ নিয়ে জননী তেরেজা এসে পৌঁছালেন কলকাতার লোরেটো সেন্ট মেরেজ স্কুলে । ইস্কুল সংলগ্ন এলাকায় ছিল কলকাতার এক দরিদ্র বস্তি তার মন সর্বদা চাইতো সেখানে তাদের সেবার কাজ করতে।
১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ২৪ মে তিনি সন্ন্যাসিনী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এই সময় তিনি ধর্ম প্রচারকদের পৃষ্ঠপোষক সন্ত ‘Therese de Lisieux’ এর নাম অনুসারে টেরিজা নাম গ্রহণ করেন। এই সময় তিনি পড়াশোনা ছেড়ে সেবার কাজে যুক্ত হতে চাইলেন কিন্তু পপের অনুমতি পেলেন না।
সন্ন্যাস ও সেবাব্রত
সন্ন্যাস ও সেবাব্রত: স্বাধীনতার পর 1948 খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। সেই সঙ্গে গ্রহণ করলেন ভারতীয় নারীর পোশাক। নীল পাড় সাদা সুতির শাড়ি। এরপর মাত্র 12 জন সদস্য নিয়ে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ৭ই অক্টোবর দ্য মিশনারিজ অফ চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান করেন । যার শাখা বর্তমান পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে আছে।
আন্তর্জাতিক খ্যাতি
আন্তর্জাতিক খ্যাতি: মাদার টেরিজার নাম ছড়িয়ে পড়লো দেশে বিদেশে । ক্রমশ মানুষের একজন মা হয়ে উঠলেন তিনি । অসংখ্য অসহায় মানুষকে তিনি সযত্নে আশ্রয় দিয়েছিলেন । দেশে-বিদেশের হাজার হাজার মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে তার কাছে ঋণ স্বীকার করেছেন ।জীবনে অনেক বড় বড় পুরস্কার পেয়েছেন। ফিলিপাইনে ম্যাগসেসে পুরস্কার।
এছাড়াও ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সম্মান নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। তার অর্জিত সকল অর্থ তিনি মানব কল্যাণের জন্য দান করে গেছেন । তার নিজের প্রতিষ্ঠান করা দ্য মিশনারিজ অফ চ্যারিটিতে। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে কালীঘাটের প্রতিষ্ঠা করেন ”নির্মল হৃদয়” শিশুদের জন্য শিশু ভবন।
Biography of Mother Teresa
এছাড়াও ৬০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 213 টি দাতব্য চিকিৎসালয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই তার এই সেবা কেন্দ্র রয়েছে তার কাছে স্বীকৃতি হিসেবে। তিনি 1979 খ্রিস্টাব্দে ১৬ই অক্টোবর ”নোবেল শান্তি” পুরস্কার ও ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে ভারতের ”ভারতরত্ন” পুরস্কার পান।
এছাড়াও তিনি ”পদ্মশ্রী”। ”নেহেরু পুরস্কার” ‘দেশিকোত্তর’ পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ৫ই সেপ্টেম্বর এই মহীয়সী নারী পরলোক গমন করেন ।
Pratidin24ghanta.com