মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রাচীন ইতিহাস || Matua Community History in Bengali
মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রাচীন ইতিহাস || Matua Community History in Bengali: মতুয়া সম্প্রদায় হলো সনাতন হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রদায় । যারা মূলত নমঃশূদ্র জাতি মূলত নমঃশূদ্রের মানুষ প্রাচীনকাল (ancient times) থেকেই উচ্চবর্ণের হিন্দু ধর্মের কিছু অসামাজিক ব্যক্তির দ্বারা অবহেলিত এবং অপমানিত হয়ে আসছেন।
তাই এই সম্প্রদায়ের মানুষের দুঃখ নিবারণ করতে বাংলার মাটিতে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর (Sri Sri Harichand Tagore) ,যিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রবর্তক ছিলেন। মহাপুরুষ শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহাকুমার সাফলডাঙ্গা গ্রামে ,বাংলা ১২১৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন ,পরে তিনি ওড়াকান্দি গ্রামে বসবাস করতে শুরু করেন এবং সেটাই হরিচাঁদ ঠাকুরের লীলাখেত্র হয়ে ওঠে
মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রাচীন ইতিহাস||শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর
মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রাচীন ইতিহাস:শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর: তিনি মতুয়া ধর্ম নামে হিন্দু ধর্মের কিছু আলাদা ধর্ম মত প্রচার করেন। তিনি নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের পরিবার থেকে হওয়ার কারণে তার বেশির ভাগই অনুগামীরা নমঃশূদ্র সম্প্রদায় ভুক্ত । এছাড়াও অন্যান্য সম্প্রদায়ের (community) মানুষেরাও মতুয়া সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত ছিল।
Also Read- Click Here
সিদ্ধ পুরুষ
এমনকি কিছু সংখ্যক মুসলিম ধর্মের ব্যক্তি ও এই সম্প্রদায় যুক্ত হয়েছিলেন। শিষ্যরা তাকে ভগবান বিষ্ণুর (Lord Vishnu) অবতার মনে করেন তাই পূজা করে থাকে। তার পুত্র শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরকেও তারা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অংশ রূপে পূজা করে থাকে ।তারা দুজনেই ছিলেন সিদ্ধ পুরুষ ।
মতুয়া সম্প্রদায়ের উৎসব
মতুয়া সম্প্রদায়ের উৎসব: শ্রী শ্রী হরিচাঁদ এবং শ্রীপুত্র গুরুচাঁদ ,উভয়ের জীবনী অনেক অলৌকিক ঘটনার ইতিহাস আছে যা বর্তমান সমাজকে নতুন এক দিশার আলো দেখিয়ে দেয়। শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর বলতেন ”হাতে কাম মুখে হরিনাম, তাতেই সবাই যাবে স্বর্গধাম”। শিশুরা কীর্তন করতে করতে মাতোয়ারা হয়ে যেতে বলে তিনি তাদের নাম দেন মতুয়া । ঠাকুরের বাড়িতে দুর্গা পূজা , রাস উৎসব ও দোল উৎসব সহ সব হিন্দু উৎসবে জাঁকজমকভাবে পালিত হতো। সবথেকে বড় উৎসব হতো।
Matua Commnuity History in Bengali|| ওড়াকান্দি
Matua Commnuity History in Bengali:ওড়াকান্দি: শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের মতুয়া সম্প্রদায়ের উৎসব ঠাকুরের জন্মদিন বা বারুণী স্নানের দিন, এই দিনই লক্ষ লক্ষ ভক্তগণ জয়ডঙ্কা কাশি বাজিয়ে সিনা ফুকিয়ে ”হরিবল ,হরিবল” ধ্বনি দিতে দিতে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে দিত। ঠাকুরের দেওয়া লাল নিশান বস্ত্র উড়িয়ে জয় ঠাকুর ধ্বনি দিতে দিতে নাচতে নাচতে লক্ষ লক্ষ ভক্ত ওড়াকান্দিতে জমায়েত হতো।
দূর দূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের একজোট হলে ওড়াকান্দি তখন গমগম করত সাত দিন ধরে মেলা বসতো। সেখানে এখনো মেলা বসে গেল। এই জয় ডংকার সব গুরুদেবের নামে সমর্পিত ধর্মের প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর তার ভক্তদের এরকমই আদেশ দিয়ে গেছিলেন।
Pratidin24ghanta.com