Rani Lakshmi Bai in Bengali
Rani Lakshmi Bai in Bengali: লক্ষ্মীবাই ভারতের ইতিহাসে বিপ্লবী মহিলা নেতা হিসাবে পরিচিত রয়েছে। এছাড়াও তিনি ঝাঁসির রানী বা ঝাঁসি কি রানী হিসেবে পরিচিত। তিনি সর্বসাধারণের কাছে এক সাহসী মহিলা রানী বলে পরিচিত। রানী লক্ষ্মীবাই একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী।
তিনি নিজের মাতৃ ভূমির জন্য সবকিছু করেছেন। তার প্রমাণ ভারতের ইতিহাসে বিভিন্ন আত্মবচনমূলক পুস্তকেও পাওয়া যায়। তাই আজকে আমরা ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাই এর বিষয়ে এই পোস্টের মাধ্যমে জানবো।
রানি লক্ষ্মীবাই এর জন্ম
রানি লক্ষ্মীবাই এর জন্ম: ১৯ শে নভেম্বর ১৮২৮ সালে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে রানি লক্ষ্মীবাই এর জন্ম হয়। তার পিতার নাম মারুপাল তামবে এবং মাতার নাম ভাগীরথী বাই। আর তার পিতা ও মাতা ছোটবেলায় তার নাম রেখেছিল Manikarnika । কিন্তু বাড়িতে সবাই তাকে মানু বলেই ডাকতেন।
Rani Lakshmi Bai
Rani Lakshmi Bai: লক্ষ্মীবাই এর বয়স যখন মাত্র ৪ বছর তখন তার মায়ের পরলোকগমন হয়। আর এরপর থেকে লক্ষ্মীবাইকে মানুষ করার জন্য দায়িত্ব নেন পেশোয়া নামক এক জমিদার। যার দরবারে লক্ষ্মীবাই এর পিতা কাজ করতেন। আর পেশোয়া, লক্ষ্মীবাইকে নিজের মেয়ের মতো ভালবাসতেন।
ছোটবেলা থেকেই লক্ষ্মীবাইকে মহাপুরুষ ও তাদের জীবনী ও ভালো কাজের কথা শোনানো হতো । এর সাথে সাথে লক্ষ্মীবাই তার ছোটবেলার বন্ধু তাতিয়া টপে ও নানা সাহেবের সাথে ঘোড়ায় চড়া, ধনুর বিদ্যা, ও নানা রকমের শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করার বিদ্যা শিখেছিলেন।
Also Read- Click Here
রানী লক্ষ্মীবাই নামকরণ
রানী লক্ষ্মীবাই নামকরণ: ১৮৪২ সালে চৌদ্দ বছর বয়সে তাকে ঝাঁসির রাজা গঙ্গাধর রাও এর সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে তিনি ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাই হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। বিয়ের পরেই তার নতুন নামকরণ হয়। লক্ষ্মীবাই হিসাবে।
১৮৫১ সালে তার পুত্র সন্তান জন্ম হয় তার নাম রাখা হয় দামোদর রাও। চার মাস পরে সন্তানকে হারিয়ে ফেলে। পুত্র শোকে রাজা ও রানী উভয় আনন্দ রাওকে দত্তক নেন। আনন্দরাও ছিলেন গঙ্গাধর রাওয়ের জ্যেষ্ঠতো ভাইয়ের ছেলে।
Lakshmi Bai in Bengali || স্বত্ববিলোপ নীতি
Lakshmi Bai in Bengali : স্বত্ববিলোপ নীতি: ঝাঁসির রাজা গঙ্গাধর রাও ২১ নভেম্বর ১৮৫৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন। আনন্দরাওকে দত্তক নেওয়ায় ব্রিটিশ ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর general লর্ড ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতির কারণে তার সিংহাসন আরোহনে প্রতিবন্ধতার পরিবেশ সৃষ্টি করেন।
ঝাঁসিরকেল্লা
ঝাঁসিরকেল্লা: ডালহৌসি জানান যে ঝাঁসির সিংহাসনে প্রকৃত উত্তরাধিকারী এবং ঝাঁসিকে কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীনে নেওয়া হবে। মার্চ ১৮৫৪ সালে ঝাঁসির রানীর নামে ৬০ হাজার ভারতীয় রুপি ভাগা হিসেবে মঞ্জুর করা হয় ।
এবং ঝাঁসিরকেল্লা পরিত্যাগ করার জন্য হুকুম জারি করা হয়। তারপর ঝাঁসির রাজ্যে ইংরেজরা দখল করার জন্য নানা রকমের অসুবিধা সৃষ্টি করে। এবং অসুবিধার সৃষ্টির মুখে হাসির রানী লক্ষ্মীবাই তাদের মোকাবেলা করেন।
Pratidin24ghanta.com