তোমার কি পড়াশোনায় মনোযোগ বসছে না ?
পড়াশোনায় মনোযোগ বসছে না? তোমার মনেও কি প্রশ্ন জাগছে ? যে, পড়া মনে করতে পারছিনা | কেন এমন হচ্ছে? তুমিও কি এর উত্তর খুঁজে চলেছ যে কিভাবে পড়া মনে রাখবে। তবে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। তবে প্রথমেই আমরা বলে রাখতে চাই যে |
পড়তে ইচ্ছা না করা | পড়ায় মনোযোগ না থাকা এবং পড়া মনে না করতে পারা একজনের ছাত্রজীবনে স্বাভাবিক ঘটনা।
প্রায় বেশিরভাগ ছাত্রই তাদের অধ্যয়নকালে এইসব সমস্যার মুখোমুখি হয়। তারা দুশ্চিন্তায় পড়ে এবং কিছু বুঝতে না পারায় তারা সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারে না। ছাত্রজীবনে তারা কিছু বুঝতে না পারলেও এর গভীর প্রভাব পড়ে তাদের ভবিষ্যতের উপর। তবে যদি একবার তারা এই ভুলগুলোকে শুধরে নিতে পারে, সাফল্যের পথে এগোতে কেউ বাধা দিতে পারবেনা।
মনে রাখার বিষয়
তাই সমাধানের আগে, সমস্যাগুলি এবং তাদের কারণ গুলি সম্বন্ধে ভালো করে বোঝা দরকার।
আমরা জীবনে বহু সমস্যার সম্মুখীন হই যার মধ্যে কিছু আমাদের ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িত থাকে। কখনও কখনও আমরা এগুলোকে এড়িয়ে যাই।আবার কখনো ভয় কিংবা লজ্জার কারনে অভিভাবক কিংবা গুরুজনদের সামনে প্রকাশ করতে পারিনা। ফলস্বরূপ তারা কোন সমাধান না পেয়ে নিরাশ হয়ে পড়ে। পড়াশোনার দিকে মনোযোগ হারানো এরকম একটি গভীর সমস্যা। এখান থেকে অতিসত্বর বের হয়ে আসতে না পারলে একটি ছাত্র জীবন সহজেই নষ্ট হতে পারে।
প্রথমত, আমাদের মন যে কাজটা করতে ভালোবাসে আমরা সেটাকেই বেশি গুরুত্ব দিই। সেটাই আমাদের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে এবং সেই কাজটি করতে আমরা বেশি সময় দিয়ে থাকি। তাই প্রথম কারণ হলো পড়াশোনার প্রতি আকর্ষণীয় তার অভাব।
দ্বিতীয় প্রধান কারণ, জামরা এখনকার টেকনোলজির যুগে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করে থাকি।ছাত্র-ছাত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়া এবংকিছু মনোরঞ্জন প্ল্যাটফর্মের অত্যধিক ব্যবহারের প্রবণতা। এগুলির আকর্ষণ ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার মনোযোগ কেড়ে নেয়।
যেহেতু এই সমস্যাগুলি তোমাদের ভবিষ্যতের দিকে আঙ্গুল তোলে, তাই এদের সমাধান অতি মূল্যবান হয়ে পড়ে। এখানে তোমাদের একটা কথা বলে রাখা দরকার যে কেউ তোমাকে শুধুমাত্র সমাধান হিসেবে কিছু পরামর্শ দিতে পারবে। তোমার জন্য কোনটি সঠিক সমাধান হবে সেটা তোমাকে যাচাই করে নিতে হবে।
তাই আমরাও এখানে কিছু পরামর্শ উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি চাইলে তোমরা অবলম্বন করতে পারো।
পড়াশোনায় মনোযোগ আনার বিশেষ কৌশল
তুমি এমন একটি বিষয়কে বেছে নিতে পারো যা তোমার পড়তে ভালো লাগে। এটি তোমার পড়ার প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করবে। অলসতা দূর করার জন্য তুমি বিভিন্ন খেলাধুলা করতে পারো। যা তোমাকে অ্যাক্টিভ রাখতে সাহায্য করবে। তুমি অধ্যায়নের জন্য সকাল কিংবা এমন একটি সময় কে বেছে নিতে পারো যখন তোমার মন সতেজ এবং খালি থাকবে। মনোযোগ স্থির করার জন্য ধ্যান খুব উপযোগী এবং ভালো ফল প্রদান করে।
এইভাবে তুমি বিভিন্ন যোগাসন এবং প্রাণায়াম এর মাধ্যমে নিজের অস্থির মনকে শান্ত করতে পারবে। যতটা পারবে সোশ্যাল মিডিয়া এবং এরকম আকর্ষণীয় প্লাটফর্ম গুলো থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করবে। তোমাকে প্রতিনিয়ত পড়াশোনার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে।
এখানে বলাই বাহুল্য যে কোন অভ্যাসই একদিনে গড়ে ওঠে না। কমপক্ষে হলেও 21 থেকে 22 দিন সময় লাগে।
তাই আপনি যদি কোন অভিভাবক বা শিক্ষক হয়ে থাকেন।তবে আপনার ছেলে-মেয়ে অথবা ছাত্রছাত্রীকে এই বিষয়টিকে ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারেন।
Is BCA good for the future? Click Here .
আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের প্রতিদিন 24 ঘন্টার তরফ থেকে |
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য এবং আপনার সহযোগিতার জন্য আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ |